গল্প কথায় বিজ্ঞান

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা থেকে শুরু করে সকল বিষয়ই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে বিজ্ঞানের নানান সূত্র দিয়ে। বিজ্ঞানীরা যুগে যুগে এই নিয়মগুলোকে সূত্রাকারে প্রকাশ করেছেন। কিছু সত্য তথ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনেক বিজ্ঞানীকে জীবন দিতে হয়েছে। তাঁরা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ধারাবাহিক আন্দোলন করেছেন। আজকে সেইসব ঘটনা শুনলে আমাদের অনেকেরই কাছে হাল্কা মনে হতে পারে। মনে হতে পারে এই ছোট্ট বিষয়ের জন্য এত কিছু। আজ যে শিশু গ্রেডওয়ানে পড়ে সেও জানে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। অথচ বিজ্ঞানী ব্রুনোকে এই সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নির্মমভাবে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছিল। এই সুন্দর পৃথিবী রচনা করার জন্য যাঁরা নিরলস অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।

 

পাখি কীভাবে আকাশে ওড়ে

পাখি আঁকা শেওড়ার সময় তীর্যকভাবে লব্ধি বল তৈরি করে।এই লব্ধি বল আনুভূমিক ও উলম্ব দুটি উপাংশে ভাগ হয়। উলম্ব উপাংশ পাখির দেহের ভার বহন করে। এছাড়া পাখির হাড় ফাঁপা থাকে বলে ভর ও কম হয়। এই উলম্ব উপাংশের বল পাখিকে আকাশে ভাসতে বা ঊড়তে সহায়তা করে। আর আনুভূমিক উপাংশ পাখিকে সামনের দিকে নিয়ে যায়।

আমরা ভাত খাই নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র দিয়ে। ভাত, তরকারি, চিপস যাই খাই না কেন? খাবার হাতে তোলার পর যদি হাতের আঙ্গুল না নাড়ানো হয় তাহলে কী হবে? আমরা খাবার হাতে তুলে বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা ধাক্কা দিই বলে খাবার মুখে যায়। যা ক্রিয়া নামে পরিচিত। মুখ হা না করলে খাবার প্রতিক্রিয়া বলের জন্য সামনে পড়ে যেত।

লনরোলার ঠেলার

চেয়ে টানা সহজ

উপরের বামের চিত্রে একটি লনরোলার কে F বলে টানা হচ্ছে এই লব্ধি বল দুটি উপাংশে ভাগ হচ্ছে। একটি ভূমি বরাবর আর একটি লম্ব বরাবর। ভুমি বরাবর FCos রোলার কে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আর উলম্ব বরাবর ক্রিয়াশীল FSin বল রোলারের ওজন W কে কমিয়ে দিচ্ছে। অপর দিকে ডান পাশের চিত্রে লন রোলারকে F বলে ধাক্কা দেয়া হচ্ছে এই লব্ধিবল ও দুটি উপাংশে ভাগ হচ্ছে। একটি ভূমি বরাবর আর একটি লম্ব বরাবর। ভুমি বরাবর FCos রোলার কে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।আর উলম্ব বরাবর ক্রিয়াশীল FSin বল রোলারের ওজন W কে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলে রোলার কে ঠেলা অপেক্ষাটা সহজ। তাইতো ঠেলা গাড়ির নাম ঠেলা গাড়ি হলে ওটা প্রকৃতপক্ষে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।কেননা ঠেললে গাড়ির ওজন অনেক বেড়ে যায়।আর টানলে ওজন কম মনে হয়।